রোগ বা অস্ত্রোপচারের পর সুস্থ হওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়, যেখানে পুষ্টি দ্রুত এবং কার্যকর পুনরুদ্ধারের জন্য বিশেষ ভূমিকা পালন করে। ভারতে চিকিৎসাধীন বাংলাদেশের রোগীদের জন্য নতুন খাদ্য অভ্যাসে মানিয়ে নেওয়া এবং সঠিক পুষ্টি নিশ্চিত করা কিছুটা চ্যালেঞ্জ হতে পারে। এই গাইডটি বাংলাদেশের রোগীদের ভারতীয় পরিবেশে সুস্থ হয়ে ওঠার জন্য সঠিক খাদ্য নির্বাচনে সহায়তা করবে, যাতে তাদের পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া সহজ হয়।
যথেষ্ট খান তবে খুব বেশি নয়ঃ আপনার শরীরের সুস্থতার জন্য শক্তির প্রয়োজন, যদিও আপনার কার্যক্রম কমে গেছে। তবে, অতিরিক্ত খাবার থেকে বিরত থাকুন যাতে ওজন বৃদ্ধি না পায়। কঠোর ডায়েটিং এড়ানো উচিত কারণ এটি সুস্থতার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।
পুনরুদ্ধারের সময়, আপনার শরীরকে টিস্যু মেরামত, সংক্রমণ থেকে মুক্তি, এবং শক্তি ফিরে পাওয়ার জন্য অতিরিক্ত পুষ্টির প্রয়োজন। প্রধান পুষ্টি উপাদানগুলো হলোঃ
ভারতীয় খাবারে বাংলাদেশের রোগীদের জন্য বেশ কিছু পুষ্টিকর অপশন পাওয়া যায়ঃ
এই পুষ্টি কৌশলগুলো আপনার রিকভারির পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত করলে আপনার সুস্থতার প্রক্রিয়ায় উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে, শক্তি ফিরে পেতে এবং দৈনন্দিন কার্যক্রমে দ্রুত ফিরে আসতে সাহায্য করতে পারে। বড় ধরনের খাদ্য পরিবর্তন করার আগে, বিশেষ করে অস্ত্রোপচারের পর, সবসময় একজন স্বাস্থ্যকর্মী বা পুষ্টিবিদদের সাথে পরামর্শ করুন।
উত্তর: প্রতিদিন শরীরের প্রতি কেজি ওজনের জন্য অন্তত ২ গ্রাম প্রোটিন গ্রহণ করার লক্ষ্য রাখুন। উদাহরণস্বরূপ, ৭০ কেজি ওজনের একজন ব্যক্তিকে প্রতিদিন কমপক্ষে ১৪০ গ্রাম প্রোটিন গ্রহণ করতে হবে।
যদিও পুষ্টিকর ডায়েট খুবই গুরুত্বপূর্ণ,কিছু রোগীকে তাদের পুষ্টির প্রয়োজন পূরণ করতে সাপ্লিমেন্ট প্রয়োজন হতে পারে, বিশেষ করে আর্গিনিন, গ্লুটামিন এবং কিছু নির্দিষ্ট ভিটামিন ও খনিজের জন্য।
উত্তর: নিরামিষাশীদের জন্য, ফ্ল্যাক্সসিড, চিয়া বীজ এবং আখরোট ওমেগা -3 ফ্যাটি অ্যাসিডের দুর্দান্ত উৎস।
উত্তর: ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ খাবার খেলে প্রদাহ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য হয়। ফল, শাকসবজি, পূর্ণ শস্য এবং লীন প্রোটিন উৎসে সমৃদ্ধ একটি ডায়েটের উপর গুরুত্ব দিন।